আঞ্জুমান প্রতিষ্ঠাতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

শাইখুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দিক রাহ.

photoশাইখুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দিক শাইখে ভানুগাছী রাহ. একটি সংগ্রাম, একটি ইতিহাস। কুরআনের সহিহ তা’লীমের তরে সারাটিজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি মরেও আমর। বৃহত্তর সিলেট থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশে শুদ্ধ কুরআন শিক্ষা দানের এক মহান শিক্ষক ও উদ্যোক্তা। কুরআন নাযিলের মাস পবিত্র রমজানে তাঁর প্রতিষ্ঠিত আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন পরিচালিত সহস্রাধিক কেন্দ্রে সহিহ কুরআন শিক্ষা প্রদান করা হয়। এসব কেন্দ্রে শত শত শিক্ষার্থীর সমাবেশ হয়। গত রমজান [১৪৩৭ হিজরি] মাসে সারাদেশে প্রায় বার শতাধিক শাখা কেন্দ্রসমহে দেড় লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী কুরআনের তা’লীম গ্রহণ করেছে। তাঁর এ খেদমত সকল মহলে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে। একই কারণে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত ও বিখ্যাত। অন্যদিকে তিনি একজন হক্কানী পীর, আলিম, ওয়ায়েজ ও গ্রন্থপ্রণেতা এবং একাধিক মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারের অধিক পুরুষ/মহিলা তাঁর থেকে ইলমুল ক্বিরাআতের সনদ [সার্টিফিকেট] লাভ করেছে। ছাত্র-শাগরিদরা পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে। যারা নিরলসভাবে কুরআনের খেদমতে নিয়োজিত।

জন্ম

১৯৪৬ সালের ৫ জুন চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার অন্তর্গত বাখরপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালে পিতা-মাতা মৌলভীবাজার জেলাধীন কমলগঞ্জ থানার ভানুগাছ সরইবাড়ি গ্রামে হিজরত করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

শিক্ষা

তিনি তাঁর জন্মস্থানেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে সরইবাড়ি মক্তবে আরবি ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯৬০ সালে বিবাড়ীয়া জেলার কসবা থানার ধজনগর গ্রামের ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করেন। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলার মিরপুর জামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসায় অত্যন্ত সুনামরে সাথে আলিয়া চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত শিক্ষা লাভ করেন। উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ১৯৬৯ সালে ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া গহরপুর সিলেটে ভর্তি হয়ে ১৯৭১ সালে কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদীস [মাস্টার্স] পাশ করেন। তিনি কয়েকজন বিখ্যাত কারী সাহেবগণের নিকট ইলমুল ক্বিরাআতের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ ও সনদ লাভ করেন। তন্মধ্যে ১৯৬৪ সালে দেশের স্বনামধন্য কারী হযরত মাওলানা ইব্রাহীম রহ. চাঁদপুরীর নিকট পূর্ণাঙ্গ ‘ক্বিরাআতে হাফস’ এর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে দারুল উলুম দেওবন্দের ক্বিরাআত বিভাগীয় প্রধান আল্লামা আবুল হাসান আযমীর কাছ থেকে ক্বিরাআতে ‘সাবআ আশারার’ বিশেষ সনদ লাভ করেন।

অধ্যাপনা

শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পর নিজ এলাকায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সরইবাড়ি ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসা। পরবর্তিতে মৌলভীবাজার সদর থানার ভাদগাঁও ইমদাদুল উলুম মাদরাসার শিক্ষাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পরে সিলেটের বালাগঞ্জ ফিরোজাবাগ মাদরাসার শিক্ষাসচিব ও জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। মৌলভীবাজার সদর থানার দামিয়াবাজার জামে মসজিদেও কিছুদিন ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিলেটের গোটাটিকরস্থ জামিয়া তা’লীমুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

দায়িত্ব পালন

তিনি বেশ ক’টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি : আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ।

মহাপরিচালক : আদর্শ ফুরক্বানিয়া মক্তব এসোসিয়েশন বাংলাদেশ।

প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম : জামিয়া তা’লীমুল কুরআন গোটাটিকর সিলেট।

প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম : সরইবাড়ি ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসা কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।

প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম : জামিয়া তাজবীদুল কুরআন, ভানুগাছ, মৌলভীবাজার।

মুহতামিম : হাফিজিয়া মাদরাসা, টেবলাইবাজার, দোয়ারা, সুনামগঞ্জ।

প্রধান উপদেষ্ঠা : আঞ্জুমানে জাকেরীন বাংলাদেশ। [আধ্যাত্মিক সংগঠন]।

সাবেক সভাপতি : আশরাফুল মাদারিস, ফেনিবিল, সুনামগঞ্জ।

সাবেক পরীক্ষক [ইলমুল ক্বিরাআত] : বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।

সদস্য, শুরা ও আমেলা : তানযীমুল মাদারিস মৌলভীবাজার।

সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সাবেক সভাপতি : জাতীয় ইমাম সমিতি কমলগঞ্জ থানা শাখা, মৌলভীবাজার।

আধ্যাত্মিকতা

শায়খে ভানুগাছী রহ. ছাত্রাবস্থায়ই ইলমে তাসাউফের সাধনা শুরু করেন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইলমে তাসাউফ অর্জনের লক্ষে কুতবে জামান লুৎফুর রহমান শাইখে বর্ণভী রহ.-এর নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেন। শাইখের ইন্তেকালের পর তাঁর বিশিষ্ট মুজায হযরত মাওলানা শাইখ আব্দুর রহমান শাওকী রহ. এর কাছ থেকে ইজাযত লাভ করেন। কুতবে জামান শাইখুল মাশাইখ হযরত মাওলানা লুৎফুর রহমান শাইখে বর্ণভী রহ.-এর খেদমতে অনেক সময় কাটাতে পেরে তিনি গৌরবান্বিত ছিলেন। তিনি তাঁর অনেক সফরের একান্ত সাথী ছিলেন। সেসময়ে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম একটি গতিশীল ও মজবুত সংগঠন ছিল। ধারাবাহিকভাবে তিনি ইউনিয়ন, থানা ও জেলা শাখার দায়িত্ব পালন করেন। এক সময়ে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হবার ফলে শায়খের সাহচর্য আরো বেশি পাবার সুযোগ হয়। বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক প্রোগ্রাম ও ওয়াজ মাহফিলে শাইখের সফর সাথী ছিলেন। যুগেযুগে আল্লাহ তা’আলা মহান ব্যক্তিদের পাঠিয়ে উম্মতে মুহাম্মদির পথের দিশা বাতলে দেন এবং পীর-ওলী আউলিয়াদের দ্বারা তাঁর দ্বীনের খেদমত জারি রাখেন। বাংলাদেশে অনেক পীর-ওলীগণ আছেন, যারা দ্বীনের কাজে ইসলামের বাণী প্রচারে নিয়োজিত। উল্লেখযোগ্য বুযুর্গদের মধ্যে শাইখুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দিক শায়খে ভানুগাছী হুজুর রহ.ও একজন খালেস পীর । তাঁর অসংখ্য ভক্ত-মুরীদ বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে বিরাজমান। বিশেষ করে তাঁর ভক্ত-মুরীদ সিলেটে, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও রাজশাহী জেলাতে। তিনি তাঁর ভক্ত-মুরীদদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকিদাসহ চার তরিকার প্রশিক্ষণ দিতেন।

আঞ্জুমান প্রতিষ্ঠা

শাইখে ভানুগাছী রহ. ছাত্র অবস্থায়ই ইলমুল ক্বিরাআতের প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলেন। মুসলিম উম্মাহ’র অশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত দেখে তাঁর মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। মানুষকে কিভাবে সহিহ কুরআনের তা’লীম দেয়া যায় সেই ফিকিরে তিনি রাত দিন ব্যস্ত হয়ে পরেন। একদিন বালাগঞ্জ জামে মসজিদে তাঁর উস্তাদ আল্লামা নূর উদ্দীন আহমদ গহরপুরী রহ. এর নিকট গিয়ে অশ্রু সজল নয়নে অত্যন্ত মিনতির সুরে বললেন, হুজুর! আপনারা দুনিয়ায় থাকতে আমরা মাহরুম হতে চলছি। প্রয়োজন কেবল আপনার ইজাযত আর দু‘আ। আমি আগামী রমজান থেকে আল্লাহর এই জমিনে কেউ স্থান না দিলে প্রয়োজনে যে কোনো গাছ তলায় কুরআনের সহিহ তা’লীম শুরু করতে চাই। হজুর বললেন: যাও! কাজ শুরু কর। [সুবহানাল্লাহ] তিনি [আলী আকবর] অনেক আগে থেকেই কিছু একটা করবেন তা তাঁর মনের মাঝে পোষে রাখেন। দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে একটি সুন্দর পথ খুঁজছিলেন। আর সে সুবাধে একটি কাগজে লিখে রেখেছিলেন ‘[si]আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ[/si]’। আজ তা বাস্তবায়িত হয়েছে। গহরপুরী হুজুরকে বললেন- হুজুর! কাজ শুরু করবো ঠিকই তবে আপনাকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে চাই। আবদারের সাথে সাথে গহরপুরী হুজুরের দিকে বাড়িয়ে দিলেন কাগজ-কলম। হুজুর আনন্দচিত্তে তাতে স্বাক্ষর করে নিলেন। গহরপুরী হুজুরের ইজাযত পেয়ে সেদিন থেকে শুরু হয় আঞ্জুমানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। সেদিন ছিলো ১৪০২ হিজরীর ৫ জুমাদাল উলা, ২৬ ফাল্গুন ১৩৮৮ বাংলা, ১০ মার্চ ১৯৮২ ইংরেজি। একে একে দেশ বরেণ্য উলামা, মাশাইখ ও সুধী মহলের সুপরামর্শে হাটি হাটি পা পা করে [si]আঞ্জুমান[/si] আজ সফলতার এ প্রান্তে। শাইখে ভানুাগছীর স্বপ্ন ছিলো আঞ্জুমানের মূল ভবনের দু’তলা পর্যন্ত দেখে ইন্তেকাল করা। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তাঁর মকবুল স্বপ্নকে কবুলও করেছেন।

দেশভ্রমণ

পবিত্র হজ পালনের লক্ষে তিনি একাধিকবার পবিত্র মক্কা নগরীতে গমণ করেন। ওয়াজ নসিহত ও আঞ্জুমানের সাংগঠনিক কর্মসূচি পালনের নিমিত্তে একাধিকবার ইংল্যান্ড, ভারত এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দুবাই ও কাতার সফর করেন।

লেখালেখি

ইলমুল ক্বিরাআত বিষয়ের উপর ‘তা’লীমুস সিবইয়ান’, ‘তা’লীমুল ক্বিরাআত’, ‘তাজবীদুল কুরআন’সহ বিভিন্ন কিতাব রচনা করেন। এছাড়াও তাঁর সম্পাদিত ‘জামালুল কুরআন’, ‘হাদইয়াতুল ওয়াহিদ’, ‘ফাওয়াইদে মাক্কিয়্যাহ’ এবং ইলমে তাসাউফের উপর প্রণীত ‘মুনাজাতে মাকবুল’ [একটি শাজারাহ] নামীয় পুস্তক প্রকাশ হয়। এছাড়াও বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও দারস বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। একসময়ে তরুণ সাংবাদিক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি মাসিক হেফাজতে ইসলামের স্টাফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবং আঞ্জুমানের মুখপত্র ত্রৈমাসিক [si]দা’ওয়াতুল কুরআন[/si]-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন।

পরিবার

তাঁর পিতা মরহুম মাওলানা রহিম উদ্দিন পাটওয়ারী রহ., দাদা মরহুম মুহাম্মদ মুলাম গাজী পাঠওয়ারী রহ.। মাতা মরহুমা বেগম আলতাফুন্নেছা। ১৯৭৫ সালে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার অন্তর্গত যশমঙ্গল [মুন্সিবাড়ী] গ্রামের মরহুম ওয়াছিল আলী চৌধূরীর ৪র্থ কন্যা কারী শামসুন নাহার চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি চার ছেলে ও চার মেয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করেন ।

অবস্থান

তাঁর স্থায়ী বাড়ী ভানুগাছ মৌলভীবাজার হলেও, তিনি নিয়মিত তাঁর স্বপ্নের ফসল আঞ্জুমান কমপ্লেক্সে থেকেই যাবতীয় কার্যক্রম আঞ্জাম দিয়ে যেতেন। বিভিন্ন জাগায় সফরের শুরু আঞ্জুমান কমপ্লেক্স থেকেই করেন, আবার সফর শেষে ফিরে আসেন আপন ঠিকানা আঞ্জুমান কমপ্লেক্সে।

ইন্তেকাল

মাওলানা আলী আকবর সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। শেষ দিকে জরও ছিলো। ৮ মার্চ ২০১৬, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ছ’টায় মওলার ডাকে সাড়া দিয়ে এ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

কাফন দাফন জানাযা

সকাল ৭টার মধ্যে তরঙ্গের মত খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনবরত ফোন আসছিল সালাতুল জানাযা কয়টায় এবং কোথায়? তাঁকে দ্রুত লাশ আঞ্জুমান কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সকাল ৮টা থেকে শোকে মুহ্যমান মানুষের ঢল নামে গোটাটিকর আঞ্জুমান কমপ্লেক্সে। জানাজায় বিভিন্ন মাদরসার শিক্ষক, ছাত্র, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। বিকাল চারটার মধ্যে পুরো এলাকা লোকে লোকারন্য হয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে সালাতুল জানাযার ইমামতি করেন শাইখে ভানুগাছীর বড় সাহেবজাদা মাওলানা কারী ইমদাদুল হক। পরে মরহুমের লাশ তাঁর প্রতিষ্ঠিত আঞ্জুমান কমপ্লেক্সে, ষাটঘর, গোটাটিকর (দক্ষিণ সুরমা), সিলেটে নির্ধারিত স্থানে দাফন করা হয়। মহান আল্লাহ কুরআনের এই খাদেমকে তাঁর রহমতের চাদরে ঢেকে রাখুন। জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। আমীন।

শাইখুল কুররা রহ. ইন্তেকালে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিউজ

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলা নিউজ ২৪ .কম
ঢাকা টাইমস ২৪ .কম
আমাদের সময় .কম
প্রিয় .কম
দি ডেইলি বাংলা .কম
সেবা নিউজ বিডি .কম
ডেইলি সিলেট .কম
সিলেটের সকাল .কম
সিলেট মিডিয়া .কম