মঙ্গলবার ১০ই জুন ২০২৫ | ২৭শে জৈষ্ঠ্য ১৪৩২

English

অনলাইন ভার্সন

৪ঠা মে ২০২৫

প্রতিষ্ঠাতা : শায়খুল কুররা আলী আকবর সিদ্দীক রাহ.

আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ

প্রকাশনা বিভাগ

চারদিকে মুর্খতার আঁধার আর ভ্রষ্টতার ঘোর তিমিরে নিমজ্জিত মুসলিম অধ্যুষিত বাংলার জনপদ। ধর্মীয় তাহজীব-তামাদ্দুন চরম হুমকির সম্মুখিন। শিরক, বিদআতের নগ্নছোবল গোটা সমাজের রন্দ্রে-রন্দ্রে। সহশিক্ষার অভিশাপে ইসলামী শিক্ষা একটি কেন্দ্রবিন্দুতে ঘুর্ণায়মান। কুরআন হাদিস ও দ্বীনি ইলমের সঠিক শিক্ষা নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ। যার দরুন মুসলিম নর-নারী আজ তাজবীদসহ কুরআনের যথার্থ শিক্ষা হতে বঞ্চিত। অথচ মহান আল্লাহ বলেন, “তোমরা তারতীলের সাথে (বিশুদ্ধভাবে) কুরআন পাঠ কর”। মহানবী স. বলেন, “তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা কুরআনুল কারীম শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়”। কুরআনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং অন্যকে প্রদান সর্বোত্তম ইবাদত বলে অত্র হাদীস দ্বারা বিবেচিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠি আজ বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াতের ব্যাপারে উদাসীন। এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ও গুরুত্বানুভব করতে অনেকেই গাফেল! সময়ের এ নাজুক সন্ধিণে অশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত থেকে পরিত্রাণ ও সমাজের সর্বস্থর হতে কুসংস্কার তথা সকল গোমরাহীর আঁধার মুলোৎপাঠন করত; তদস্থলে কুরআনী সংস্কৃতি এবং সহীহ কুরআন শিক্ষার আলো বিকিরণের মহান দায়িত্ব গ্রহণ করে আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ।

প্রতিষ্ঠা: দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামা, মাশায়েখ, বুদ্ধিজীবী ও সূধি মহলের সমর্থন নিয়ে ১৪০২ হিজরীর ৫ জুমাদাল উলা, ১৩৮৮ বাংলার ২৬ ফাল্গুন মোতাবিক ১৯৮২ ইংরেজীর ১০ মার্চ এ কুরআনী প্রতিষ্ঠান “আঞ্জুমানে তা’লীমুল কুরআন বাংলাদেশ’ নামে আত্মপ্রকাশ করে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: এ অরাজনৈতিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ল্ক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো, কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে ব্যক্তি ও সমাজ গঠন, বংলাদেশ তথা বিশ্বের মুসলিম নর-নারীদের পবিত্র কুরআনের সহীহ তা’লীম ও তারবিয়্যাতের মাধ্যমে আদর্শ কুরআন পাঠক গঠন, যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহর সন্তোষ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন। আলহামদুলিল্লাহ! আঞ্জুমান এ ল্ক্ষ্যপানে পৌঁছাতে মাসিক, সাপ্তাহিক, দৈনিক, বয়স্ক, যুবক ও শিশুদের কুরআন শিক্ষা ও শিক্ষদেরকে নিয়ে মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ নিয়মিত চালু রেখেছে।